পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে
পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ জন্ম নিয়েছে, আজও নিচ্ছে, ভবিষ্যতেও নেবে। প্রত্যেকে নিজ নিজ জীবনের গল্প লিখে যাচ্ছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে – এত মানুষের মধ্যে “পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ” কে?
এই প্রশ্নটি সহজ মনে হলেও এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের বিবেচনায় আনতে হয় নৈতিকতা, মানবতা, আত্মত্যাগ, এবং সৃষ্টির কল্যাণে অবদান ইত্যাদি অনেক বিষয়। এই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র একটি নাম দিয়ে সীমাবদ্ধ করা যায় না, তবে কিছু দিক দিয়ে আমরা বুঝতে পারি একজন মানুষ কেমন হলে তাকে “সবচেয়ে ভালো মানুষ” বলা যায়।
১. ভালো মানুষ কে?
ভালো মানুষ সে,
-
যে নিজের জন্য না, বরং অন্যের কল্যাণের জন্য বাঁচে।
-
যে দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ায় নিঃস্বার্থভাবে।
-
যে ক্ষমা করতে জানে।
-
যে সমাজে আলো ছড়ায় শিক্ষা, সহানুভূতি ও ভালোবাসা দিয়ে।
-
যে নিজের ভুল স্বীকার করে, অন্যের ভুল মাফ করে।
২. ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে
ধর্মীয়ভাবে অনেকেই বিশ্বাস করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ ছিলেন নবী ও রসূলগণ।
ইসলাম ধর্মে:
হজরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে বলা হয় “আল আমিন” – সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও উত্তম চরিত্রের মানুষ। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় মানবতার মহান আদর্শ স্থাপন করেন, শত্রুকেও ক্ষমা করেছেন, এতিমের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সমাজের নিচুতলার মানুষকে মর্যাদা দিয়েছেন।
খ্রিস্টধর্মে:
যিশু খ্রিস্ট-কে মনে করা হয় প্রেম, ক্ষমা, এবং আত্মত্যাগের প্রতীক। তিনি তার অনুসারীদের শিখিয়েছেন "তোমার শত্রুকেও ভালোবাসো।"
হিন্দুধর্মে:
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও রামচন্দ্র – তাঁদের চরিত্র মানবতার আদর্শ রূপে বিবেচিত। তাঁরা ন্যায়, ধর্ম ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের সুখ বিসর্জন দিয়েছেন।
৩. আমাদের চারপাশের “ভালো মানুষ”
পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ শুধু ইতিহাসেই ছিলেন না, এখনো আমাদের আশপাশে রয়েছেন।
যে মা নিজের সন্তানের জন্য জীবন উৎসর্গ করেন
-
যে শিক্ষক নিজের ছাত্রদের ভবিষ্যতের জন্য বিনা স্বার্থে জ্ঞান বিতরণ করেন
-
যে যুবক বৃদ্ধ মায়ের হাত ধরে রাস্তা পার করায়
-
যে ডাক্তার গরীব রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেন
-
যে মানুষটি দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ায় নিঃশর্তভাবে – তিনিই আমাদের কাছে ভালো মানুষ।
৪. পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ হতে কি দরকার?
-
সততা রাখা
-
সহানুভূতিশীল হওয়া
-
নির্লোভ হওয়া
-
নিজের ভুল স্বীকার করা
-
দরিদ্র ও দুর্বলদের পাশে দাঁড়ানো
আপনিও হতে পারেন পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ, যদি আপনি কারও মুখে হাসি ফোটাতে পারেন।